পৃথিবীর সকল নারীদের স্বপ্ন মা হওয়া। নিজের মধ্যেই নতুন প্রাণীর সৃষ্টি করা, এবং তাঁকে ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করে জন্ম দেওয়া।কিন্তু মা হওয়ার জন্যে নির্দিষ্ট এই কটি সময়েরই কেন প্রয়োজন হয়? যদিও অনেকেই ১০ মাসের আগেও সন্তানের জন্ম দিয়ে দেন। সেক্ষেত্রে জল ভাঙলে এমন একটি দশা হতে পারে। যাই হোক, আজ এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হবে একজন মহিলার ৯ মাসের প্রেগনেন্সি জার্নি। এবং যেকোনো নারীর সন্তান প্রসবের সময়ে অভিজ্ঞতার কেমন হয়, আজ সেটাও আমরা জানাবো।
ভগবানের অদ্ভুত সৃষ্টি, একটি ক্ষুদ্র ভ্রুন ৯ মাসের ব্যবধানে কীভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ মানুষ রূপে জন্ম নেয়, সেটাই আশ্চর্য জনক বিষয়। ৯ মাসের প্রেগনেন্সি জার্নি সব মহিলার কাছেই আনন্দ এবং চ্যালেঞ্জিং ভরা একটি যাত্রা। সম্প্রতি অনেক মা তাঁর গর্ভাবস্থা জার্নির একাধিক ছবি এবং প্রতি মাসের বেবি বাম্পের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরছেন। পেটের ছবি থেকে আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষার ছবি, বাচ্চা কীভাবে আস্তে আস্তে বেড়ে উঠছে, সমস্ত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। তবে আজকে এমন একটি মায়ের গর্ভাবস্থার জার্নি আপনাদের সামনে তুলে ধরা হবে, যা দেখে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। ভিডিওটি শেয়ার করেছেন সারা নামক একজন মহিলা।
যে মাত্র ৯ মিনিটের মধ্যে তাঁর পুরো ৯ মাসের গর্ভাবস্থার জার্নি তুলে ধরেছে। সন্তান ধারনের সময়ে শরীর যে কতটা পরিবর্তন হয়, সেটাও তুলে ধরা হয়েছে এই ভিডিওতে। প্রথমে সামান্য একটু বেবি বাম্প দেখা যায়, এরপর তা সপ্তাহের পর সপ্তাহ জুড়ে বাড়তে থাকে। সকালের অসুস্থতা থেকে বিকেলে পিঠে ব্যথা, ক্লান্তি, সবটাই প্রেগনেন্সির স্বাভাবিক লক্ষণ। পেটের ভেতরেই সারা তাঁর ক্রমবর্ধমান শিশুকে অনুভব করতে পারে। তবে তিনি এটাও নিশ্চিত হয়েছিলেন যে, তাঁর শিশু সুস্থ এবং স্বাভাবিক ভাবেই জন্ম নেবে। কারণ পেটের ভেতরে অনাগত শিশুর নড়াচড়া বেশ বুঝতে পার ছিলেন তিনি। বাচ্চা জন্ম দেওয়ার দিন যতই এগিয়ে আসে সারার মুখে চোখে স্পষ্ট হয়ে ওঠে উত্তেজনা।
ভিডিওটি শেষ হয় সারার সন্তান জন্মের মধ্যে দিয়ে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সারা তাঁর সন্তানকে পৃথিবীতে আনার জন্য কিভাবে নিজের বেবি বাম্পে চাপ দিচ্ছে। অবশেষে অনন্তকালের প্রতীক্ষার পর সারা তাঁর ফুটফুটে সন্তানের জন্ম দেয়। তাঁর নবজাতক সন্তান ক্ষুদ্র, কুঁচকানো, একটি ভার্নক্স নামক মোম জাতীয় পদার্থে আবৃত ছিল। ভিডিওটি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সারা বলেন, ‘ঈশ্বর সত্যিই অদ্ভুত সত্যিই আশ্চর্য। আমার ভেতরে যে ছোট্ট অলৌকিক ঘটনাটি এতদিন ঘটে যাচ্ছিল সে এখন আমার বাহুতে। সত্যি আমি নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছি না মনে হচ্ছে চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছে।’ সারার এই ভিডিওটি বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে এবং এই বিস্ময়কর ভিডিওটি দেখে সবাই অবাক হয়েছে।