গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর প্রকোপে পৃথিবীর বহু জায়গা ভবিষ্যতে অবলুপ্ত হয়ে যাবে। যেখান থেকে বাদ যাবে না ভারতও (India)। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, ২০৫০ সালে পৃথিবীর মানচিত্রের আকার ঠিক কেমন হতে চলেছে? থাকবে না অনেক দেশ। ইতিমধ্যেই ভূমিকম্পে তুরস্কে অনেকেই ক্ষতির মুখে চলে গিয়েছে। আপনি জানলে অবাক হবেন, ভূতত্ত্ববিদরা আশঙ্কা করছেন যে, আগামী দিনের প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় ঘটবে না অনেক দেশের। সবটাই
গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর প্রভাব।
ভূতত্ত্ববিদদের ধারণা, আগামী দিনে বিলুপ্ত হয়ে যাবে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য তাজমহল। যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত তাজমহল যে কাঠ দিয়ে তৈরি তা যমুনা নদীর জল থেকে শক্তি পায়। কিন্তু গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর জন্যে যমুনার জল আস্তে আস্তে শুকিয়ে যাচ্ছে এবং এর ফলে তাজমহল স্মৃতিসৌধের গোড়ায় নানা রকম পোকামাকড় দেখা দিচ্ছে।
যে কারণে ভবিষ্যতে তাজমহল ভেঙে পড়বে। শুধু তাজমহল নয়, এই তালিকায় রয়েছে লাদাখের হেমিস ন্যাশনাল পার্কও। বর্তমানে স্নোলি পার্টের সংখ্যা কমে আসছে যার ফলে এই ন্যাশনাল পার্কের অস্তিত্ব ধ্বংসমুখী। এছাড়া গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর প্রভাবের কারণে বিলুপ্ত হতে পারে সিমলার সিভিক সেন্টার, আসামের মাজুলী দ্বীপ।
যেটি ১২০০ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত। বর্তমানে এই দ্বীপটি মাটি ক্ষয়ে যাওয়ার কারণে নদীর তলায় তলিয়ে যাচ্ছে।আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, ২০৫০ এর আগেই এটি ধ্বংস হয়ে যাবে। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র সুন্দরবন। ভবিষ্যতে এই ম্যানগ্রোভ অরণ্য বিলুপ্ত হয়ে যাবে।